ভূমিকা
বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকার আজিজুল হক কলেজ। এটি বগুড়া শহরে অবস্থিত এবং উত্তরবঙ্গের শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে কলেজটি বিশেষ অবদান রেখে চলেছে। তাই এ কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও এর প্রতিষ্ঠার ইতিহাস জানাও গুরুত্বপূর্ণ।
![]() |
আজিজুল হক কলেজ |
প্রতিষ্ঠা ও প্রতিষ্ঠাতা
আজিজুল হক কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৩৯ সালে। কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তৎকালীন আইনজীবী, সমাজসেবক এবং শিক্ষানুরাগী মোহসিন উদ্দিন আহমেদ সওদাগর।
তিনি শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজনে বগুড়ায় একটি কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। তবে কলেজটির নামকরণ করা হয় তৎকালীন বাংলার শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবক স্যার আজিজুল হকের নামে, যিনি মুসলিম সমাজে আধুনিক শিক্ষা বিস্তারে অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন।
বিকাশ ও উন্নয়ন
প্রাথমিকভাবে এটি একটি বেসরকারি কলেজ হিসেবে যাত্রা শুরু করে।
-
পরবর্তীতে ১৯৭০ সালে কলেজটি সরকারীকরণ করা হয়।
-
বর্তমানে কলেজটিতে এইচএসসি, স্নাতক (পাস), অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু রয়েছে।
-
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এ কলেজে বর্তমানে হাজার হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
আজকের অবস্থান
আজিজুল হক কলেজ বর্তমানে শুধু বগুড়া নয়, উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে শিক্ষা লাভ করে বহু মেধাবী ছাত্রছাত্রী দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন।
উপসংহার
আজিজুল হক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা মোহসিন উদ্দিন আহমেদ সওদাগর ছিলেন এক দূরদর্শী শিক্ষানুরাগী। তার প্রচেষ্টা ও সমাজসেবামূলক দৃষ্টিভঙ্গির ফলেই এই কলেজের জন্ম। আজ এটি দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে হাজারো শিক্ষার্থীর স্বপ্ন পূরণে কাজ করছে।